মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আসন্ন জাতীয় সংসদে অবাধ, সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা থাকার একমাত্র পথ প্রার্থী বাচাঁই,পরিবর্তন। বর্তমান এমপিদের অধিকাংশ বহাল রাখলে ক্ষমতায় ঠিকে থাকা সহজতর নয়। বেশীর ভাগ এমপিরা নিজ এলাকায় তাদের বিতর্কমুলক কর্মকান্ড, ত্যাগী নেতাকর্মীদের অব মূল্যায়ন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারে জয়প্রিয়তার হার উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে, এদের নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া অসম্ভব হবে। তবে এমনতর এমপিদের এলাকায় জয়প্রিয়তা কমলেও দলের উচ্চ মহলে ম্যানেজের কারনে তাদের মনোনয়ন প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। অনেক এমপি এলাকায় ব্যক্তিগত স্বার্থে, সুযোগ সুবিধায় ডাকবাংলা, সার্কিট হাউসে কতিপয়/ বিতর্কিত নিজস্ব বলয়ের ব্যক্তিদের নিয়ে আনন্দ উল্লাসে সময় অতিবাহিত করেছে। তারা সুযোগ সন্ধানীদের পরামর্শে নিরীহ, অসহায় নেতাকর্মী এবং নানা শ্রেণির মানুষকে
মামলা মোকদ্দমা সহ বিভিন্ন উপায়ে হয়রানি করেছে। প্রশাসনের লোকরাও এমপিদের বৈধ অবৈধ কাজে সহযোগিতা করতে বাধ্য হয়েছ। মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীরা এমপিদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসল তথ্যের বিপরীত তাদের অনুকুলে রিপোর্ট দিয়ে উচ্চ মহলে সরবরাহ করে থাকে। উচ্চ মহল সত্যের বিপরীত তথ্যের ওপর নির্ভর করেই এ অজনপ্রিয় প্রতিনিধিকেই বহাল রাখতে বাধ্য হন। এতে তাদের নির্বাচনী বৈতরনী পার পাওয়া কঠিন/ অকৃতকার্যের সম্মূখীন হতে হয়। অপরদিগে সংস্থা জনপ্রিয় নেতাদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা বা অধিক না পাওয়ায় সঠিক তথ্য দেয় না। এতে করে মাঠ পর্যায়ে জন প্রিয় প্রার্থী মনোনয়ন হতে বঞ্চিত হয় ।