মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের এক কর্মী তার চাকরি ও বেতন ফিরে পেতে দুই মাস ধরে ঘুরছেন দ্বারেদ্বারে।
রোববার দুপরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দাড়িয়ে একা এই মানববন্ধন করেন নাসিরনগর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের মো: অলি মিয়ার ছেলে মোঃ মামুন মিয়া। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র।
ভুক্তভোগী মামুন জানায়, সে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। পরে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে তাকে ছাত্রদলের রাজনীতি করে বলে চুক্তিভিত্তিক বেতন ভাতা দেয়া থেকে বঞ্চিত করে দেয়া হয় । মামুন বলেন, সে যুব উন্নয়নের আওতাধীন উন্নয়ন খাতের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মামুন কে ছাত্রদলের রাজনীতি করে বলে অপবাদ দিয়ে বেতন ভাতা আটকে দেয়। এছাড়াও গত দুইমাস যাবৎ তাকে অফিসের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে ও অফিসে প্রবেশ করতেও নিষেধ করে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
তাকে আরও বলা হয় যেহেতু ছাত্রদলের রাজনীতি করো তাইলে ওখানে গিয়ে রাজনীতি করো এখানে আসার দরকার নাই। বেশি বারাবাড়ি করলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার ভয়ও দেখানো হয় বলেও জানান তিনি। মামুন বলেন আমি নাসিরনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের রাজনীতি করি বলে আমাকে অন্যায় ভাবে বেতন ভাতা দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কয়েক দিন উপজেলা ছাত্রদলের নেতা নাসির উদ্দিন আহত হয়ে কলেজ মোড়ে পরে থাকলে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে আমার ছবিও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আসে এর পর থেকে আমার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। ঈদের আগে আমাকে বেতন ভাতা আটকে দিয়ে বঞ্চিত করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে কর্মকর্তার, কাছে গেলে উনি আমাকে ইউএনও’র কাছে যাওয়ার কথা বলেন। আমি ইউএনও মহোদয়ের কাছে গেলে উনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান । পরে আমি আবার প্রানি সম্পদ স্যারের কাছে গেলে তিনি বেশি বারাবাড়ি না করতে বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো।