শিরোনাম :
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটর সেবা প্রদান——- নাসিরনগরে বিনিময় প্রথার ঐতিহ্যবাহী শুঁটকি মেলা । ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের মধ্যে এক দ্বিপাক্ষিক কর্পোরেট স্বাস্থ্যচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। স্বপ্নজয়ী নারী সম্মাননা ২০২৫ পেলেন প্রীতি চক্রবর্তী দাঁতমন্ডল গ্রামের ডাকাত গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে মহানগর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত—— কোরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসার উদ্যোগে শ্রীপুরে হাফেজ ছাএদের পাগড়ী প্রদান——- নবীনগরে ধর্ষকদের ফাঁসির বিক্ষোভ মিছিল *ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পেট্রোবাংলার মধ্যে কর্পোরেট স্বাস্থ্যচুক্তি* নাসিরনগর ধরমন্ডলের ইয়াবা সম্রাট গ্রেপ্তার
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

হাঁস খামাড়ির শামীম মিয়া মাথায় হাত 

প্রতিনিধির নাম / ১১৯৪ বার
আপডেট : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নাসিরনগর উপজেলা’র বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল এলাকায় এক হাঁস খামাড়ির মাথায় হাত। আশুরাইল বেনীপাড়ার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাসিম এর বাগানে নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ শামীম মিয়া নামে এক ব্যক্তি হাঁসের খামাড় গড়ে তোলেন। সেখানে ৪৫০০শত হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে পালন করা শুরু করেন তিনি । বাচ্চা গুলোর বয়স ছিল প্রায় দের মাস। নাসিরনগর উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনের একটি ওষুধের দোকান থেকে কৃমিনাশক ওষুধ কিনে এনে খাওয়ানোর পর থেকে সংবাদ লেখার আগ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০০ টি হাঁস মারা যায়। এতে প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয় খামাড়ী। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী খামাড়ী।

ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর নাসিরনগর উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনে মেসার্স মা ফার্মেসীর মালিক শেখ ফরহাদ হোসেনের দোকান থেকে ৮ প্যাকেট কৃমিনাশক ওষুধ কিনে এনে ৪৫০০ টি হাঁসের বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে প্রায় ৩৫০০ বাচ্চা মরে শেষ হয়ে যায়।
 ভুক্তভোগী শামীম মিয়া বলেন, আমি ৩ প্যাকেট কৃমির ওষুধ দিতে বলি দোকানী শেখ ফরহাদ কে, তিনি বলেন তিন প্যাকেটেই হবে না ৮ প্যাকেট লাগবে । সে আরও বলে আমি ট্রেনিং প্রাপ্ত চিকিৎসক ৮ প্যাকেটই লাগবে। উনার কথা মতো কিনে এনে খাওয়ানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত আমার খামাড়ের ৩৫০০ টি হাঁস মারা যায়। বাকি গুলোও এখন মরার পথে। আমার দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। আমার এখন পথে বসতে হবে। হাতুড়ে চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন  স্থানীয় সালিশ কারকদের  মাধ্যমে সমাধান করবে বলে আশ্বাস দিয়ে দুইদিন ধরে কোন সমাধান দেয়নি । পরে আমি নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।
সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে ফরহাদ হোসেন’র মুঠোফোন (০১৭১৭২৬১৫১১) নাম্বারে একাধিক বার চেষ্টা করলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।


এ জাতীয় আরো সংবাদ