মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মো. নাজির মিয়া। নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় জনগনের সামনে বর্তমান সরকারের টানা ১৫ বছরের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরতে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক করে চলেছেন তিনি। তিনি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখছেন। নাসিরনগর উপজেলায় সর্বমোট ১১৭ টি ওয়ার্ড রয়েছে, তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তারই আংশ হিসেবে তিনি এখন পর্যন্ত ৯১ টি উঠান বৈঠক করেছেন।
উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট নাসিরনগর গড়তে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া (নাসিরনগর-১) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান তিনি। আলহাজ্ব মো. নাজির মিয়া বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ করে চলেছেন তিনি। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও চায় নাজির মিয়া কে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হউক। কর্মী সমর্থকরা মনে করেন তিনি সংসদ সদস্য হলে নাসিরনগরের উন্নয়নে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখবেন। কর্মী সমর্থকদের কাছে নাজির মিয়া একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত।
১৯৭৯ সালে যখন দশম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন নাজির মিয়া তখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮১ সালে ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৮৬ সালে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং ১৯৯১ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নির্বাচিত হন৷
নাজির মিয়া ২০০৩ সালে বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে কৃষকলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরপর ২০০৬ ও ২০১৯ সালে টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে কৃষকদের কল্যানে কাজ শুরু করেন।
তার প্রয়াত পিতা হাজী মো. অলি মিয়া ও পরিবারের সকলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার সহধর্মিনী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার। তার শশুর প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) গোলাম নূর ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আওয়ামিলীগ সমর্থনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে দলের দূর্দিনের সময় তিনি ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির প্রতি প্রচণ্ড আত্ববিশ্বিাসী এ কৃষকলীগ নেতা জনসেবায় নিজেকে সব সময় জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করেন। বর্তমানে স্থানীয় এমপি থাকা সত্বেও এলাকার মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিতে আসেন তার কাছে । সদালাপি ও ধৈর্য্য ধরে মানুষের কথা শোনেন, সেই কারণে মানুষের কাছে তিনি একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন সবসময়।
বাংলাদেশ কৃষকলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নাজির মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেত্রীত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যদা অর্জন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ১৪ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলো জনগনের সামনে তুলে ধরছেন তিনি। সেই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেত্রীত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, সুন্দর ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে তরুণদের কাজে লাগাতে চান তিনি। গড়তে চান স্মার্ট নাসিরনগর। বিএনপি জোট সরকারের সময় দলের দু:সময়ে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের হাল ধরে দলকে ঐকবদ্ধ করেছেন তিনি। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন অনেকবার।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা মহমারীতে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে নিজস্ব অর্থায়নে নাসিরনগর উপজেলার অন্তত ৬ হাজার কর্মহীন, দরিদ্র, দিনমজুর ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে গিয়েছেন। দলের নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত হিসেবে তাকেই নেত্রী মনোনীত করবেন বলে আশাবাদী তিনি ও তার সমর্থকরা। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে দলের ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী অঙ্গ-সংগঠনের সমর্থকরা রয়েছেন তার সঙ্গে। তারা মনে করছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তিনি নৌকার প্রতিক নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অন্য প্রার্থীর থেকে এবার নাজির মিয়ার কোনও বিকল্প নেই। নাসিরনগরের উন্নয়নে নাজির মিয়ার মত যোগ্য ব্যক্তি প্রয়োজন।