শিরোনাম :
বন্যাদুর্গতদের মাঝে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার পাঠক ফোরামের ত্রান সামগ্রী বিতরণ নাসিরনগর পুলিশের ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। গোকর্ণ ইউনিয়নের ২০৬ পিস ইয়াবা সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। নাসিরনগরে ৪ সীসা কার্তুজ উদ্ধার  কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজও সার বিতরণের উদ্বোধন। উপজেলা চেয়ারম্যান রোমা আক্তারের প্রথম অফিস  আমারে বদলী করতে মন্ত্রী লাগব,এমপি দিয়ে হবে না, বললেন মেডিকেল অফিসার মোহায়মিনুল। নাসিরনগরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দেবর ও শ্বশুর আটক । কুন্ডা ইউনিয়নের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান সহ ১২ সদস্যের অনাস্থা নাসিরনগর সদর পশ্চিমপাড়া প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার।
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন

সেচ প্রকল্পের একই জায়গায় তিনটি নলকূপ থাকা স্বত্তেও আরেকটির অনুমোদন।

প্রতিনিধির নাম / ৫৫৪ বার
আপডেট : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

মিহির দেব , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকোট ইউনিয়নের বাঘি এলাকায় সেচ প্রকল্পের তিনটি অগভীর নলকূপ থাকা স্বত্তেও হান্নান মিয়া নামে আর একজনকে বসানোর অনুমতি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে ১৫ নভেম্বর বুধবার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন রুবেল মিয়া, সজল মল্লিক ও সাদ্দাম হোসেন নামের তিন ব্যক্তি।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভলাকোট ইউনিয়নের বাঘি এলাকার ৯৩৪৮, ৩৬৩৫ ও ৩৬২৫ নম্বর দাগে রুবেল মিয়া, সজল মল্লিক ও সাদ্দাম হোসেন নামের তিন ব্যক্তি অগভীর সেচ প্রকল্পের নলকূপ বসিয়ে স্কীম পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। তাদের তিন জনের অগভীর নলকূপের মাঝে একই ইউনিয়নের হোসেন আলী’র ছেলে হান্নান মিয়া কে অনুমোদন দেয় বিএডিসি কার্যালয় বলে জানা যায় । এ নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, হান্নান মিয়া কে সেচ প্রকল্পের অগভীর নলকূপ বসানোর অনুমোদন দেয় কুটই মৌজার ৩৬৪৪ নম্বর দাগে। অন্যদিকে হান্নান মিয়া কুটই মৌজায় না বসিয়ে বাঘি মৌজার ৩৭২৭ নম্বর দাগে বসায়। যার ফলে বাঘি এলাকার রুবেল মিয়া, সজল মল্লিক ও সাদ্দাম হোসেন নামের তিন ব্যক্তির প্রকল্পের কৃষি জমিতে নালা কেটে ক্ষতি সাধন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া বলেন, আমরা অনেক বছর যাবৎ সেচ প্রকল্প চালিয়ে আসছি। বর্তমানে হান্নান মিয়া আমাদের নলকূপের কাছেই একটা নলকূপ বসিয়ে দেয়। একটা নলকূপের ৫০০ ফুটের মাঝে আর একটা কিভাবে বসায়? আর ৫০০ ফুটের মধ্যে যেন বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়া হয় এর জন্য গত ৩ অক্টোবর একটি অভিযোগ দেই, এর কোন সমাধান দেয়া হয় নাই আমাকে। নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওখানে সংযোগ দেয়া হয়। আমি এইটার সুষ্ঠু সমাধান চাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।
আরেক ভুক্তভোগী সজল মল্লিক বলেন, আমি ত্রিশ বছর যাবৎ এখানে সেচ প্রকল্প চালিয়ে আসছি, কিন্তু হান্নান মিয়া বিএডিসির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একই এলাকায় আরেকটি অগভীর নলকূপ বসিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে হান্নান মিয়া বলেন, আমার জমি বাঘি, তারা কুটই কিভাবে লেখছে আমি জানি না। আর আমাকে অনুমোদন দিছে বলে আমি বিদ্যুৎ সংযোগ বসাইছি। কে অনুমোদন দিছে জানতে চাইলে সঠিক কোন সদোত্তর দিতে পারে নি।
নারিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বিষয় টি সম্পর্কে আমার জানা নাই, জেনে বিস্তারিত বলা যাবে।
বিএডিসি কার্যালয়ের সরাইল নাসিরনগর উপজেলার দায়ীত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার মো: আসিফ কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি অনুমোদন দেয়ার কেউ না। এইটার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের উনি এই প্রকল্পের সভাপতি।


এ জাতীয় আরো সংবাদ