মিহির দেব , ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের আহাদ মিয়ার নির্মানাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোববার(১৪এপ্রিল) সকাল ১১ থেকেই উদ্ধারের কাজ চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুটমা এলাকায় আহাদ মিয়ার একটি ভবনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকির কাঠের মাচা খুলতে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন।
পরে তাদের কোন সারা শব্দ বা নড়াচড়া না পেয়ে বিষয়টি অন্যদের জানালে সেখানে লোকজন ভীড় জমাতে থাকেন। পরে নাসিরনগর থানা পুলিশ কে জানানো হয় । পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্যাংকিতে মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হন। ট্যাংকির মুখ ছোট হওয়ায় মরদেহ উত্তোলন করতে বেগ পেতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করার জন্য টানা ৩ ঘণ্টা ট্যাংকি দেয়াল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে । একে একে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
উদ্ধারকৃতরা হলেন, মোঃ ছনু মিয়া(২৫), পিতা-মৃত নজব আলী, মাতা-হনুফা বেগম,
সাং-সম্পদপুর, ইউপি-আদাউর
মোঃ আলম মিয়া(২২), পিতা-মৃত ফজলুল হক, মাতা-খোদেজা বেগম, সাং-কৃষ্ণনগর ৪নং পৌরসভা,মোঃসম্রাট মিয়া(২০), পিতা-আতিক মিয়া, সাং-মইজপুর, ইউপি-আদাউর, উভয়
থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গ্যাসের কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।