শিরোনাম :
বন্যাদুর্গতদের মাঝে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার পাঠক ফোরামের ত্রান সামগ্রী বিতরণ নাসিরনগর পুলিশের ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। গোকর্ণ ইউনিয়নের ২০৬ পিস ইয়াবা সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। নাসিরনগরে ৪ সীসা কার্তুজ উদ্ধার  কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজও সার বিতরণের উদ্বোধন। উপজেলা চেয়ারম্যান রোমা আক্তারের প্রথম অফিস  আমারে বদলী করতে মন্ত্রী লাগব,এমপি দিয়ে হবে না, বললেন মেডিকেল অফিসার মোহায়মিনুল। নাসিরনগরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দেবর ও শ্বশুর আটক । কুন্ডা ইউনিয়নের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান সহ ১২ সদস্যের অনাস্থা নাসিরনগর সদর পশ্চিমপাড়া প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার।
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

নাসিরনগর পুলিশের ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।

প্রতিনিধির নাম / ৭২ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪

মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃনিরাপত্তাসহ ১১ দফার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানায় কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছেন পুলিশ সদস্যরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল এগারো ঘটিকার সময় নাসিরনগর থানা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করে নাসিরনগর থানায় ও চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার, ৮ ঘন্টা ডিউটি, ছুটি বৃদ্ধি, সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁকিভাতা, নিজ রেঞ্জে বদলি, পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। ০১। ক) স্বাধীন কমিশন গঠন,পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করে দলীয় প্রভাব মুক্ত জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করতে হবে। আমরা যে রংঙের ইউনিফর্ম পরিধান করে কলংকিত হলাম সেই পোষাকের রং পরিবর্তন করে কনস্টবল থেকে আইজি পযন্ত একই ড্রেসকোড হতে হবে। খ) আমাদের সকল পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং এর সাথ যে সকল সিনিয়র অফিসাররা ক্ষমতা লোভি দালাল পুলিশ অফিসারদের কারণে আমাদের শতশত পুলিশ সদস্য ও সাধারণ ছাত্র জনতা মৃৃত্যবরণ করেছেন তাদেরকে গ্রেফতার করে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ প্রচলিত আইনে বিচার করতে হবে ও তাদের অবৈধ সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ০২। ক) চলমান সহিংসতার যে সকল পুলিশ সদস্য আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, যে সকল সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জানমালের নিরাপত্তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকারের বিভাগীয় ব্যবস্থা অথবা হয়রানি করা যাবে না। খ) সকল পুলিশ সদস্যদের অন্যান্য সংস্থার চাকুরীর মতো শ্রম আইন অনুযায়ী ০৮ (আট) ঘন্টা কর্ম ঘন্টা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যদি ০৮(আট) ঘন্টার বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় তাহলে ওভার টাইম হিসাবে গন্য করতে হবে। ০৩। ইন্সপেক্টর থেকে ৬০% এবং ৪০% এএসপি পদে সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে। পদোন্নতির জটিলতা নিরসনের জন্য সকল পদে পদোন্নতির জন্য সুপার নিউমারারি চালু করতে হবে এবং নুনতম পুলিশ সুপার পর্যন্ত পদোন্নতি ব্যবস্থা করতে হবে। অধস্থন পুলিশ সদস্যদের টিএ/ডিএ বিল যথা সময়ে প্রদান করতে হবে ও সোর্সমানি প্রদান করতে হবে। ঝুঁকি ভাতা বেসিক এর ৭০% দিতে হবে এবং ফ্রেশমানি পুলিশ সদস্যের ব্যাংক হিসাবে দিতে হবে। ০৪। আমাদের সকল পুলিশ সদস্য ও পরিবারের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসা করা হলে তাহার ভাউচার অনুসারে কল্যাণ তহবিল থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ০৫। ক) বিভাগীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে একবার পরিক্ষায় পাশ করার পরে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা এবং অধস্থনদের পদোন্নতির বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনে সুপার নিউমারারী পদ সৃজন করতে হবে।  খ) ওসি হিসাবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিগত ১৫ (পনের) বছরে যারা সুবিধা বঞ্জিত হয়েছেন তাদের দায়িত্ব দিতে হবে এবং ওসি হিসাবে ০২ (দুই) বারের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং ৫৪ (চুয়ান্ন) বছরের বয়সের সীমাবদ্ধতা তুলে দিতে হবে।

০৬। অধস্থন পুলিশ সদস্যদের সাথে পিআরবি অনুসারে সৌহার্দপূর্ণ আচরন করতে হবে, এবং ব্যক্তিগত কাজে কোন সদস্যকে ব্যবহার করা যাবে না ও কনস্টেবল থেকে সকল পর্যায়ের অফিসারদের পোষ্টিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।

০৭। সার্জেন্ট এবং সাব-ইন্সপেক্টরদেরকে পিএসসির অধীনে একই নিয়োগের মাধ্যমে সকল ইউনিটে পদায়ন করতে হবে এবং বর্তমানে কর্মরত সার্জেন্টদেরকে তদন্ত ক্ষমতা দিতে হবে ও এটিএসআইকে এএসআই (নিরস্ত্র) হিসাবে সমন্বয় করতে হবে। জনগনের স্বার্থে এবং সুষ্টু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ট্র্যাফিক বিভাগের অবৈধ রেকার বানিজ্য বন্ধ করা এবং মামলার টার্গেট প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে।০৮। কমিউনিটি ব্যাংক এবং সকল কল্যাণ তহবিলের সু-স্পষ্ট হিসাব প্রতিবছর সকলকে প্রদান করতে হবে এবং লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার ৬% এর নিচেই নিয়েই আসতে হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যান ট্রাস্ট থেকে সমন্বয় করতে হবে।

০৯। ক) নবম গ্রেড পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ৬ষ্ঠ গ্রেড নিশ্চিত করতে হবে এবং একই পদে সর্বোচ্চ ০৬ (ছয়) বছরের মধ্যে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। খ) ইন্সপেক্টর থেকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ চাকুরি হারালে সকলেই পেনশন সহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পায় কিন্তু কনস্টেবল থেকে এসআই পর্যন্ত এই সুবিধা দিতে হবে এবং সারা বাংলাদেশে যে সকল সদস্যদের বরখাস্ত করে রাখা হয়েছে তাদেরকে মানবিক কারণে বিবেচনা করতে হবে। ১০। ক) প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে প্রতি বছর ২০ (বিশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটির পাশাপাশি ০২ (দুই) মাস অর্জিত ছুটি বাধ্যতামুলক ভোগ করার ব্যবস্থা করতে হবে। খ) প্রত্যেক পুলিশ সদস্য নিজ রেঞ্জে পর্যায়ক্রমে পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অধস্থন পুলিশ সদস্যদের ১০০% আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ১১। পুলিশের সকল সদস্য সকল ইউনিটে চাকুরি করার সুযোগ রাখতে হবে (স্বায়ত্বশাসিত এবং টেকনিক্যাল) বলে কোন ইউনিট থাকবে না ও সবাইকে সব ইউনিটে বদলীর সুযোগ থাকতে হবে। পুলিশ সুপারের নিচে বডিগার্ড, অর্ডালি নিয়ম বন্ধ করতে হবে।আমাদের দাবী সমূহ ০৭(সাত) কার্য দিবসের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায়, সমগ্র বাংলাদেশ পুলিশের কর্মবিরতি চলমান থাকবে।নাসিরনগর থানা ভবনের সামনে অফিসার ইনচার্জ মো: নুরে আলম ও চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আইসি রঞ্জন কুমার ঘোষের উপস্থিতিতে পুলিশের এসআই, এএআই ও কনস্টেবলরা এ কর্মবিরতিতে অংশ নেন। সেখানে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়া এবং আত্ম গোপনে থাকা পুলিশের উর্ব্ধতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে তারা।


এ জাতীয় আরো সংবাদ