মিহির দেব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অভিযান চালিয়ে বিজয়নগরের থানার পুলিশে ৮ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
উদ্ধার করা হয়েছে একটি মাইক্রোবাস ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। বিজয়নগর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই রাত আনুমানিক ২টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ সংবাদ পায় যে, চান্দুরা ইউনিয়নের রামপুর বাজার সংলগ্ন রামপুর ব্রিজের উত্তর পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই অলী উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযানে অংশ নেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু ডাকাত পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে একটি মাইক্রোবাসসহ ৮ জন ডাকাতকে আটক করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
১। জলিল মিয়া (৩৪), পিতা: মৃত জলফু মিয়া ওরফে আলফু, সাং: নাসিরনগর, থানা: নাসিরনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
২। শাহ আলম (২৬), পিতা: আবু সাঈদ, সাং: ছাতিয়াইন (দক্ষিণ পাড়া), থানা: মাধবপুর, জেলা: হবিগঞ্জ।
৩। মনির মিয়া (২১), পিতা: আইয়ুব আলী, সাং: বুডিশ্বর (চানপাড়া), থানা: নাসিরনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৪। বিধান সরকার (২১), পিতা: অনিল সরকার, সাং: বুডিশ্বর (চানপাড়া), থানা: নাসিরনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৫। লাল বাদশা ওরফে জামাল (৩২), পিতা: মৃত জালাল মিয়া, সাং: আতুকুড়া (খন্দকারবাড়ি), থানা: নাসিরনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৬। মোঃ গাজীউর রহমান (৩৫), পিতা: মৃত লোকমান মিয়া, সাং: আতুকুড়া (বড় হাটি), থানা: নাসিরনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৭। আবুল কাশেম (২৬), পিতা: মৃত মারাজ মিয়া, সাং: আতুকুড়া (বড় হাটি), থানা: নাসিরনগর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৮। ফয়েজ মিয়া (২২), পিতা: মৃত দুলাই মিয়া, সাং: ছাতিয়াইন (দক্ষিণ পাড়া), থানা: মাধবপুর, জেলা: হবিগঞ্জ।
আটকদের হেফাজত হতে উদ্ধারকৃত আলামত: একটি পুরাতন ব্যাগে রাখা দুটি ধারালো ছুরি, একটি দা এবং একটি শেভিং খোর দুটি লোহার ও এসএস পাইপ (প্রত্যেকটি প্রায় ২৯-৩৫ ইঞ্চি দীর্ঘ) মাইক্রোবাস (রেজিঃ DHAKA METRO-CHA-11-5013, উভয় পাশে NOAH লেখা ।
উদ্ধারকৃত আলামত উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিজয়নগর থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম জানান, পালিয়ে যাওয়া অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল জোরদার করা হয়েছে।