শিরোনাম :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

মুঠোফোনে পরিচয় অত:পর ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি

প্রতিনিধির নাম / ৭৬ বার
আপডেট : সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ  মুঠোফোনে পরিচয় অত:পর প্রেম, বিয়ে, ঘটনাটি ঘটেছে মাধবপুর নোয়াপাড়া এলাকায়।ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকায়। প্রেমিক নাছিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের মছলন্দপুর গ্রামের আব্দুল হাসিম এর পুত্র মো: আব্দুল হাকিম।

ভুক্তভোগী নারী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী এক সন্তানের জননী জীবিকার তাগিদে মাধবপুরের নোয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। ৭-৮ মাস আগে মুঠোফোনে পরিচয় হয় আব্দুল হাকিমের সাথে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমিক হাকিম ও-ই নারীকে প্রস্তাব দেয় তাকে বিয়ে করবে তার আগের স্বামীকে তালাক দিতে হবে। হাকিমের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আগের স্বামীকে তালাক দেয় ওই নারী। তার ওই সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর সঞ্চয়কৃত ১০০০০০(লক্ষ টাকা) হাকিমের কাছে রাখেন তিনি। হাকিম এর মধ্যে অনেক বার মাধবপুর ওই নারীর সাথে দেখা করে।

ভুক্তভোগী নারী আরো বলেন, একদিন হাকিম তাকে নোয়াপাড়া এক মাজারের কাছে যেতে বলে এবং কাজীর মাধ্যমে তারা বিয়ে করবে। পরে সে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাজি হয়ে নোয়াপাড়া এলাকায় যায়, সেখানে এক মাওলানার মাধ্যমে তাদের বিবাহ হয়। এরপর মাজার সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘরে তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। পরে হাকিম কে বাড়িতে উঠানোর কথা বললে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। হাকিম কিছুদিন সময় চায়। কিছু দিন অপেক্ষা করে ভুক্তভোগী নারী আবার বাড়িতে উঠতে চাইলে হাকিম তাকে অস্বীকার করে। তার উপর হাকিম ক্ষুব্ধ হয় বলে জানান ওই নারী। হাকিমের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
পরে ভুক্তভোগী নারী গত ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ হবিগঞ্জ আদালতে দন্ড বিধির ৪০৬/৪২০/৪৯৩/৫০৬ (২)ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মো: আব্দুল হাকিম বলেন, এগুলো সব মিথ্যা কথা। আর যদি এমন কিছু হয় তাইলে আমি তারে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসমু।


এ জাতীয় আরো সংবাদ