শিরোনাম :
মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তার! অপরাজিতা দত্ত চলে গেলেন না ফেরার দেশে । ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন। আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজঘর গ্রামের কাজল মিয়ার পরিবার নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যলয়ের বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ ভলাকুট ইউনিয়ন বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত। আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান । ইউনিভার্সেল নার্সিং টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সেবার মানসিকতাই হোক একমাত্র ব্রত প্রফেসর ডাক্তার রমা বড়ুয়া নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট শ্রমিকের মৃত্যু
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

নাসিরনগরে কোমর পানি ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যায় শিশুরা

প্রতিনিধির নাম / ১১২৪ বার
আপডেট : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

  1. মিহির দেব ,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

    হাঁটু-কোমর পানি। খালবিল ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে আসছে তারা। এক পোশাক হাতে। আর এক পোশাক স্কুল ব্যাগে। এটি ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা ইউনিয়নের ভেঙ্গাউতা গ্রামের দৃশ্য। পাকা সড়ক না থাকায় এভাবেই চলছে শিশুদের শিক্ষা জীবন, এতে গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
    প্রতিদিন ভেঙ্গাউতা গ্রাম থেকে অন্তত দুই কিলোমিটার দূর্গম পথ ও পানি ভেঙ্গে বহু কষ্টে স্কুলে যাতায়াত করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীগণ।আবার পানিতে পড়ে কে কখন প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনার শিকার হবে সে আশঙ্কায় দিন কাটছে সংশ্লিষ্টদের। ফলে ক্রমেই বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেউ কেউ। এ ছাড়াও খাল বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সহজ রাস্তাটিও হাঁটুর ওপর পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সেখান দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে কাপড় চোপড় ভেজার পাশাপাশি পানিতে পড়ে বই পুস্তকও নষ্ট হয় কারো কারো।তাছাড়া খালের নোংরা ও দূষিত পানি পরিবেষ্টিত হওয়ায় রয়েছে রোগ ব্যাধির আশংকা।
    অভিভাবকরাও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চান না এবং বিদ্যালয়ে খাবার
    নিয়ে আসলেও খেতে মন চায় না। পাটের মৌসুমে এখানে পাট জাগ দেয়ায় পচা পানিতে ডেঙ্গু মশার কারখানা তৈরি হয়। আশংকাজনক ভাবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে। সব মিলেয়ে ভেঙ্গাউতা গ্রামে একটি বিদ্যালয় যেন একটি স্বপ্ন বৈ কিছু নয়। এ বিষয়ে কালীউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ বায়েজিদ খান বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন প্রতিটা বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে স্কুল দেওয়া হবে।আমরা এ ব্যাপারে ব্রাহ্মনবাড়িয়া -১ আসনের এমপি মহোদয়,উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও ইউএনও মহোদয়ের কাছে গিয়েছিলাম। তারা আমাদের কে আশ্বাস দিয়েছেন ভেঙ্গাউতা গ্রামে একটি স্কুল করে দেবেন। আশা করছি অচিরেই তা বাস্তবায়ন হবে।


এ জাতীয় আরো সংবাদ