মিহির দেব , ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে।
ধরমন্ডল আঞ্চলিক সড়কে বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে এখন বেহালদশা। অনেক ঝুঁকি নিয়ে ছোটবড় যানবাহন চলাচল করছে। বন্যার পর থেকে এ সড়কে সংস্কার না করায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে
এ কারণে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ধরমন্ডল ইউনিয়ন এলাকার স্থানীয় লোকজন জানান, বাঘাসুরা( কালিগঞ্জ ) হতে বলভদ্র নদী থেকে লক্ষীপুর পর্যন্ত – আঞ্চলিক সড়কে প্রতিদিন শত শত যাত্রী মালবাহী যানবাহন সহ সিএনজি চলাচল করে।
এরইমধ্যে সড়কটির বিভিন্ন স্থানের পাথর ও পিচ উঠে কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে।
সংস্কারের দুই বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানের পাথর ও পিচ উঠে গিয়ে খানা-খন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে মনে হচ্ছে এটি পাকা সড়ক নয়, কাঁচা সড়ক।
তারপরও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোকজনসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। সড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কিছু অংশে ইট থাকলেও একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী।
প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পথচারী নাইমুল ইসলাম জানান, সড়কটির এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় তাদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। অন্য সড়ক দিয়ে অনেক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে বলে সময়ও লাগছে বেশি।
এদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারণ তাদের দীর্ঘ ভাঙা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারণে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মতো শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না।
ওই সড়কে চলাচলকারী শিক্ষার্থী জান্নাত আক্তার বলেন, সড়কটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙে গেছে। যার কারণে স্কুলে যেতে খুবই কষ্ট হয়। আমরা চাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হোক ।