মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নে নাসিরপুর বাজার সংলগ্ন
ছোট্ট একটি খাল পারাপার বাঁশের সাঁকো দিয়ে মাথাপিছু ৫ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। মনসুর মিয়া,ও দুলাল মিয়া এর নাসিরপুরের বাসিন্দা ।
ওই রাস্তা দিয়ে মনোহরপুর, টেকানগর, কান্দি ,ভলাকুট,খাগালিয়া ,ভিটাডুবি , মাছমা , গোয়ালনগর ,কাঁঠালকান্দি সোনাতলা ,কদমতলীসহ ভাটি এলাকার প্রায় ৪০ টির অধিক গ্রামের বর্তমান সময়ে নাসিরনগর আসা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা।
স্থানীয় লোকজন বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব পুতুল রানী দাস কয়েকটা বাঁশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দিতে পারতেন , কিন্তু তা না করে তিনি ফন্দী এঁটেছেন কিভাবে জনগণের পকেট থেকে অর্থ খোইয়ে নেয়া যায়, সেই মোতাবেক দুটি বাঁশ দিয়ে তৈরি করলেন ছোট্ট একটি খালের উপর সাঁকো।
টেকানগর গ্রামের তাজুল ইসলাম পিতা ইছব উদ্দিন বললেন আমি একবারে ৫০০ টাকা দিয়ে দিয়ে দিছি , বিটাডুবি গ্রামের মাসুক মিয়া বলেন আমরা পানি আসার আগ পর্যন্ত চলাফেরা করতে পারব , আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে দিয়েছি।
মনসুর মিয়া ও দুলাল মিয়া নেতৃত্বে তিনজন লোক দ্বারা হাজার হাজার পথচারী কাছ থেকে আদায় করছেন চাঁদা ।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব পুতুল রানী দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য জনাব শামসুল কিবরিয়া হাকিম রেজা , নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা জনাব আশফাকুর রহমান তিনজন মিলে ,
মনসুর মিয়া ও দুলাল মিয়া থেকে ৯০,০০০ নব্বই হাজার টাকা নিয়ে এক বছরের জন্য চাঁদা তুলতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে, এবং এবিষয়ে মনছুর মিয়া বলেন চেয়ারম্যান লিখিত অনুমোদন দিয়েছেন আমাকে ।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাসের কাছে মুঠোফোনে এর সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে একবছরের দেয়া হয়েছে, কিন্তু কোন প্রকার লিখিত অনুমোদন দেয়া হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবেন সদর ইউনিয়নের নায়েব সাহেব।
জেলা পরিষদ সদস্য শামছুল কিবরিয়া (হাকিম রেজার) কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি যতটুকু তফসিলদার এর খাতে জমা হয়েছে,
আমি তাকে বললাম তহসিল অফিসার তো বললেন উনার খাতে জমা নেননি, তখন তিনি (হাকিম রেজা) বলেন এটা জেলা পরিষদ এর কাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে জমা নেয়া হয়। বাকি টুকু সদরের নায়েব সাহেব জানেন।
সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জনাব,আশফাকুর রহমান এর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই মূহুর্তে কিছু বলতে পারবনা,এটা চেয়ারম্যান সাহেব বলতে পারবেন, এটা আমাদের দেয়ার কোন সুযোগ নেই, আমার কাছে আসার পর চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের সদস্য (হাকিম রেজা) কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি ,চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদ সদস্য হাকিম রাজে সরকারি রাজস্ব মনে হয় জমা দিয়েছে, কত জমা দিয়েছে জানিনা ।