মিহির দেব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার, অনেক ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে । এরমধ্যে সরাইল,নাসিরনগর,লাখাই আঞ্চলিক সড়কের ব্রীজ গুলোও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায়।
এছাড়া নাসিরনগর চাতলপাড় সড়কের ব্রিজও রয়েছে।
সদর ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের, নাসিরনগর সরাইল সড়কের ব্রীজে গত বন্যার পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা ছিল। সেই সময় নাসিরনগর উপজেলা সরকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন নিজে উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে ওই ব্রিজের গোড়ায় বাঁশ,বালুর বস্তা সিমেন্টের বস্তা দিয়ে কোন রকম ভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন বলে আজও ওই ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে।
বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল(বেনীপাড়া) মহাখাল নামক স্থানে একটি ও শ্রীঘর মেন্দি আলীর বাড়ি সংলগ্ন একটি। মহাখাল ব্রীজটি সংযোগ থেকে সরে গেছে। ব্রীজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারী যানবাহন চলাচল করে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।দাতমন্ডলের ব্রীজটি বিগত বন্যায় হেলে পড়ার পর কোন ক্রমে জোড়াতালি দিয়ে চলাচল করা হচ্ছে। মেন্দি আলীর বাড়ির নিকটে থাকা ব্রীজটিও দীর্ঘদিন আগে ভেঙ্গে পড়ায় উপরে পাটাতন দিয়ে কোনক্রমে চলাচল করা হচ্ছে।ব্রীজ চারটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে মহাসড়কে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা।
নাসিরনগর সদর পশ্চিম পাড়া সাবেক চেয়ারম্যান মীর মোশারফ হোসেন এর বাড়ির সামনে চাতলপাড় রোডেও ব্রিজ আশংকাজনক।
স্থানীয়রা জানান ওই ব্রিজ উঠতে গিয়ে অনেক গাড়ি উল্টে পরে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অনেক মানুষের হাত পা ভেঙ্গেছে এবং এই ব্রীজ দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
এ বিষয় জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরানুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন,ঝুকিপূর্ন ব্রীজ পুনঃ নিমার্নের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে এখনো কোন অনুমোদন পাননি।
অনুমোন পেলে ব্রীজগুলো টেন্ডারে দেয়া হবে।