মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘড় গ্রামের সরকার গোষ্ঠী ও বড়হাঁটি গোষ্ঠীর শসা চুরির জেরে রাতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোরে সংঘর্ষ আহত ২০,
সংঘর্ষে উভয় পক্ষ টেঁটা, বল্লম, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেন, নারী -পুরুষ সহ আহত হয়েছে।
জুহেল মিয়ার জমি থেকে শসা চুরিকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার (৯ জুন) রাতে জুলুস মিয়ার ছেলে জুয়েলের জমি থেকে জালাল মিয়ার ছেলে হৃদয় শসা চুরি করে। চুরির সময় জুয়েল তাকে আটক করে। পরে তার অভিভাবকদের বিষয়টি জানায় জুয়েল। অভিযুক্ত হৃদয়ের পক্ষে জালাল মিয়ার ভাই জুয়েলের হাত ধরে ক্ষমা চান। কিন্তু ক্ষমা চাওয়াকে ভালোভাবে নেয়নি তাদের পক্ষের মাতব্বর মীর্জা আলী।
তিনি বিষয়টি অন্যভাবে দেখবেন বলে হুমকি দেন, জুয়েল মিয়ার লোকজনও পাল্টা হুমকি দেন, পরে ওই দিন রাতে দফায় দফায় মিটিং করে সকাল বেলায় সংঘর্ষে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দুই পক্ষের লোকজন।
মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে পূর্ব প্রস্তুতির আলোকে মীর্জা আলীর লোকজন ও জুয়েলের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরস্পরের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষ চলে প্রায় তিন ঘণ্টা। এসময় দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়। এর মধ্যে জুয়েল মিয়ার পক্ষের লোকজন হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মীর্জা আলীর লোকজন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার বলেন, শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের ২০ জনের মতো আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।