মিহির দেব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর শ্রী লক্ষী মৎস্য আড়ৎদারকে নিষিদ্ধ পিরাহনা মাছ বিক্রয়ের দায়ে ৫০০০ টাকা জরিমান করেন।
বুধবার (২৫ জুন) নাসিরনগর সদর মৎস্য আড়তে নিষিদ্ধ পিরাহনা মাছ বিক্রয় করাই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর , অভিযানে প্রায় ৪০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করেছেন। এছাড়াও নিষিদ্ধ মাছ বিক্রি ও মজুদের অভিযোগে শ্রী লক্ষ্মী মৎস্য আড়ৎদার কংস দাসকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফীন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই আড়তে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ ও চাষের মাগুর মাছে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্রি করে আসছিলো কিছু অসাধু আড়ৎদার। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফানিমুল আরেফীন বলেন, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাছ বিক্রেতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার বলেন, পিরানহা মাছ বাজারে বিক্রি ও চাষ সরকারীভাবে নিষিদ্ধ। এটি দেখতে রুপচাঁদা মাছের মতো হওয়ায় এক শ্রেণির অসাধুব্যবসায়ী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিক্রি করছে। তিনি আরো বলেন, অভিযানে জব্দকৃত মাছ স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।